সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

নারী ক্ষমতায়ন

 



নারী ক্ষমতায়ন: সমতার পথে এগিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার

নারী ক্ষমতায়ন বলতে বোঝায় নারীর সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও মানসিক সক্ষমতা বৃদ্ধি, যাতে তারা স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারে এবং সমাজে সমান অধিকার নিয়ে বাঁচতে পারে। একটি জাতির প্রকৃত উন্নয়ন তখনই সম্ভব, যখন সেই জাতির নারীরা শক্তিশালী ও স্বাবলম্বী হয়।

বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক দেশে নারীরা আজও শিক্ষা, কর্মসংস্থান, স্বাস্থ্যসেবা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার। বাল্যবিবাহ, যৌতুক, পারিবারিক সহিংসতা ও কর্মক্ষেত্রে অসমতা নারীর অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করে। এসব সমস্যা দূর করতে নারী ক্ষমতায়নের কোনো বিকল্প নেই।

নারী শিক্ষাই নারী ক্ষমতায়নের প্রথম ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। শিক্ষিত নারী শুধু নিজের জীবনই পরিবর্তন করে না, বরং একটি পরিবার ও একটি প্রজন্মকে আলোকিত করে। একই সঙ্গে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন অত্যন্ত জরুরি। নারী যখন আয়ের সুযোগ পায়, তখন সে আত্মবিশ্বাসী হয় এবং পরিবার ও সমাজে তার মর্যাদা বৃদ্ধি পায়।

বর্তমানে নারী উদ্যোক্তা, ফ্রিল্যান্সার, শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রশাসক ও রাজনীতিবিদ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ডিজিটাল প্রযুক্তি নারীদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে। ঘরে বসেই অনলাইনে কাজ করে অনেক নারী আজ স্বাবলম্বী হচ্ছে।

তবে শুধু আইন বা সুযোগ দিলেই নারী ক্ষমতায়ন নিশ্চিত হয় না। সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করা অত্যন্ত জরুরি। নারীকে দুর্বল নয়, বরং সক্ষম ও শক্তিশালী মানুষ হিসেবে দেখতে হবে। পরিবার থেকেই নারীর প্রতি সম্মান ও সমতার চর্চা শুরু হওয়া উচিত।

🌼 নারী ক্ষমতায়ন মানেই পরিবার শক্তিশালী, সমাজ এগিয়ে যায় এবং দেশ উন্নতির পথে হাঁটে।
একটি সুন্দর ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গড়তে নারী-পুরুষ উভয়ের সম্মিলিত প্রচেষ্টা অপরিহার্য।

মন্তব্যসমূহ